একটি বেদনার্ত দিনের শেষ হয়েছিল ২৫সে এপ্রিল ২০১৬ তে , সাথে সাথে রক্তের দাগ বিছিয়ে রেখে পবিত্র ধর্মপ্রেমী কিছু মানুষ কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে কেরে নিয়েছিল দুটি যুগলের প্রাণ। জুলহাজ তনয় জুগলের রক্তে শুধু তার কলাবাগানের বাসাটাই ভাসে নাই , ভেসেছে আরও অনেক সমপ্রেমি সত্ত্বাও। সংখ্যাটা কতো তা হয়তও আমাদের অজানা, হয়তো তা জানাটাও কোনদিন গ্রাহ্য হবে না দেশের মাটিতে। সবশেষে দেশ পুণ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে তাদের আদর্শ শাস্তি দিতে পেরে , যেখানে তার পর থেকে আর কোন জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হয় নাই। আজ তাদের গত হওয়ার তিন বছর। তাদের অস্তিত্তের আর অনুদানের কোন প্রকার সাইন আজ কোথাও নেই, নেই কোন স্বীকৃতি। হয়তো তারা যে পরিবারের সন্তান ছিলেন তারাও হয়তো তাদের ভুলে যেতে বাধ্য হয়েছেন অথবা বলা যায় হাফ ছেড়েই বেঁচেছেন এই বলে যাক বাবা একটা কলঙ্ক থেকে তো মুক্তি পাওয়া গেলো।
প্রাণ দুটি চলে গেছে , যে ব্রতয় নিয়ে রূপবানের স্রস্টা সকল বাধা পেরিয়ে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সমাজে কিছু অজানা মানুষদের আবেগের কথা পরিচিত করার জন্য তারও সমাপ্তি হয়েছে। রুপবানের রুপ কেরে নিয়ে তাতে বসিয়ে দেয়া হয়েছে রক্তের দাগ, একটা সেকুলার বাংলাদেশের পথে বিষ কাঁটা বসিয়ে তৃপ্ত হয়েছে জনপ্রিয় ধার্মিক সংগঠনগুলি। জিতেছে দেশের আইনের দেবী আজো তাদের মামলা তার খোলা চুলে মেখে অনিদৃষ্টের পানে তা বাতসে শুকতে দিয়ে রেখে। দিব্বি হয়ত খুনি আসামী গুলো আরও কুটিল কিছু চিন্তা করে যাচ্ছে আরও কিছু প্রাণনাশের নিমিত্তে তাদের প্রত্যহিক প্রাথনার পর তাদের নিরাপদ স্থান মসজিদ গুলিতে। কোন কিছুরই কোন পরিবর্তন হয় নাই, হবেও না।
একটি জুলহাজ আর একটি তনয় কেরে নিয়ে যদি জাতি মনে করে একটি শ্রেণীর মুখের ভাষা কেরে নেয়া গেছে অথবা তাদেরকে চিরতরে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া গেছে তাহলে জাতীরও মনে রাখা উচিৎ হোয়তও এই সুযোগে জেগে ঊঠেছে লাখো জূলহাজ আর তনয়। তাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার অভিপ্রায় আজ জাগ্রত হয়েছে হাজারো প্রাণে। হত্যা দিয়ে কোন অধিকার কখনই থামিয়ে রাখা যায় নি আর যাবেও না । পরম ভালবাসায় সিক্ত হোয়ে, আর মনের গহীন নিংড়ে তোমাদের স্মরণ করলাম জূলাহজ আর তনয়। যেখানেই থাক তোমরা গেয়ে যেও ভালোবাসার গান, সেটা কেউ না শুনলেও আমরা ঠিকই শুনে নেবো আর তা হবে আগামীর হাজারও জূলহাজ আর তনয়ের হৃদয়ের ব্রত।