আমি প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাস হতে মুক্ত এবং ঈশ্বরে অবিশ্বাসী। আমার কাছে ধর্মে বিশ্বাস ও প্রচলিত রিতিনীতি প্রচন্ড ভাবে ছোয়াচে ভাইরাসের মত মনে হয়।

কিছু উদাহরন দিলে বিষয়টা পরিস্কার হবে। যেমন,

নেমাটোফরম ওয়ার্ম নামক এল প্রকার পরজীবীর আক্রমনে ঘাস ফড়িং পানিতে লাফিয়ে পড়ে সুইসাইড করে। কারন এই পরজীবী ঘাস ফড়িং এর মস্তিস্কে বংশবিস্তার করার সময় তার পানির প্রয়োজন হয়, ও সে তখন ঘাস ফড়িং কে প্রভোক করে পানিতে লাফিয়ে পড়ার জন্য।

ঠিক এই পরজীবীর মত, মানুষের মন ধর্মের  ভাইরাসের আক্রমনে ইসলামের জিহাদে লাফিয়ে পড়ে। ধর্মের  ভাইরাস মানুষের মস্তুস্কে সংক্রমিত করে সন্ট্রাসি হামলায় প্রলুব্ধ করে নাইন ইলেভেনের মত ঘটনা ঘটায়। তাদের মতে এ হত্যাযগ্য সর্গ থেকে আগত পবিত্র দায়িত্ব।

ধর্মের  ভাইরাসের এ হত্যাযগ্য সব ধর্মেই বিদ্যমান। উদাহরন স্বরূপ হিন্দু মৌলবাদীদের দ্বারা ভারতে বাবড়ি মসজিদ ধংস। এছাড়াও পৃথিবী জুড়ে ইসলাম, ইহুদি, হিন্দু বিবাদ লেগেই আছে।

আমাদের বাংলাদেশ অনেক বড় ঊদাহরন, এখানে ৯০% মুসলমানের বাস, এবং সবাই খুব ধার্মিক।

আল্লাহর গুনাহ, ভয়, ও আজাব যদি এদেশের মানুষকে পাপ ও দুর্নিতি থেকে দূরে রাখতে পারত, তাহলে এদেশ আজ আলকোরআনে বর্ণিত বেহেস্তে পরিনত হত।

ঈশ্বর সংগায়িত নয়, বিজ্ঞান দিয়ে এর অস্তিত্ত বা অনস্তস্তিত্ত কোনটায় প্রমান করা সম্ভব নয়।

আমার মতে ধর্মী ও বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় অবিশ্বাস। আমাদের মস্তিস্কে খুব ছোটবেলায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে, লোভ, লালসা, শাস্তি, পবিত্রতা, আনন্দ বজায় রাখার জন্য ধর্মে বিশ্বাস জরুরি। তাদের বিশ্বাস কে আমি ছোট করি না। তাদের জানাতে চাই ধর্মে অবিশ্বাসে ও জীবন সুন্দর ও আনন্দের হয়। ছোট বেলা থেকেই দেখেছি, ধর্মের অস্তিত্ত আছে মানুষের ভয়ের ভিতর। এটা করলে ওটা হবে, এই রকম। কোণ কিছু চাই, আমার পরম আন্তীয় অসুস্থ, বাস সবাই ধর্মিক হয়ে গেলাম, তারপর কাজ হাসিল হয়ে গেলে যেই কি সেই, সব শুধুই লোক দেখানো ভাঁড়ামি। আমি দেখেছি কোন কিছু পাওয়ার আশায় চরম নাস্তিক কে রাতারাতি আস্তিক বনে যেতে।

আমার মতে ঈশ্বর সদয় বা নির্দয় কোনটায় নয়। তিনি যদি সদয় হতেন তাহলে পৃথিবীতে এত শিশু হত্যা, ধর্ষণ, খুন, ভূমিকম্প, বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হত না। তাহলে কি এ সকল দুর্যোগের জন্য ঈশ্বরই দায়ি নহেন?

আচ্ছা মানলাম, তিনি সক্ষম, কিন্তু অনিচ্ছুক তাহলে তয় তিনি পরম দয়ালু নহেন। আবার তিনি ইচ্ছুক কিন্তু অক্ষম, তাহলে তয় তিনি সর্ব শক্তিমান নহেন। আবার, তিনি সক্ষম ও ইচ্ছুক দুটায় হন, তাহলে তিনি পরম করুণাময় নহেন। আবার,সব শেষে তিনি অক্ষম ও অনিচ্ছুক তাহলে তাকে আমরা কেন মানব।