সৈয়দ আরিফ মাসুদ, যুক্তরাজ্য
অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদি হবার অপরাধে অজানা অচেনা মানুষ গুলি করে মেরে ফেলেছে এক খুনে মুসলমান। স্রেফ ইহুদি হবার অপরাধে।
বাংলাদেশে নাস্তিক হবার অপরাধে দুই ডজন মানুষকে খুন করেছিল কিছু খুনে মুসলমান।
আয়রনিটা দেখুন। নিজেরা কাউকে “ইহুদি” বা “নাস্তিক” হবার অপরাধে খুন করে খুনে মুসলমান। এদের সিম্প্যাথাইজাররা প্রচার করে “বাংলাদেশে/গোটা পৃথিবীতে মুসলমান হবার অপরাধে হত্যা করা হচ্ছে”।
মুসলমান হবার “অপরাধে” কখনো কাউকে হত্যা করা হয় না। জামাত-শিবির-হেফাজতকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হলে এরা মিথ্যা রটায় যে তাদের মুসলমান হবার অপরাধে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যার শিকার বিএনপি কম হয়নি। তারাও ধর্মবিশ্বাসে মুসলমান ছিল। তারা তো এই কথা বলে না। এজন্য বিএনপি আলাদা।
এই ছোট্ট জীবনে ইহুদি পরিচয় হওয়ার অপরাধে মুসলমানের হাতে বহু মানুষকে মরতে দেখলাম। নাস্তিক হবার অপরাধে বহু মানুষকে মুসলমানদের হাতে জবাই হতে দেখলাম। জীবনে কোথাও দেখলাম না স্রেফ মুসলমান বলে কাউকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ রাজনৈতিক হতে দেখেছি, ভূ-রাজনৈতিক হতে দেখেছি, কিন্তু ধর্মপরিচয় কারণ ছিল না।
অর্থাৎ সে মুসলমান না হয়ে নাস্তিক হলেও খুন হত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতে। গাজায় মুসলমান, খ্রিস্টান, নাস্তিক এবং বৌদ্ধ খুন হয় ভূ-রাজনৈতিক কনফ্লিক্টে। পপুলেশন ১০০% খ্রিস্টান হলেও হতাহতের সংখ্যা একই হত।
মুসলমান বলে পৃথিবীর কাউকে কোথাও খুন করা হয় না।
অথচ “মুসলমান নয়” বলে মুসলমানরা খুন করে যাচ্ছে। জন্মের পর থেকে এমন কোন বছর যায়নি যে বছর মুসলমানদের হাতে এ ধারায় খুন হতে দেখিনি অন্তত ২৫০ ঘটনায়।
জন্মের পর একটা বছরও দেখিনি যেখানে “মুসলমান হবার অপরাধে” একজন মানুষও মরেছে।
অথচ মুসলমানদের স্ট্যাটাস দেখি “তারা নির্যাতিত”। ফুয়াদের মত পিশাচরা, মেজর জলিলের মত ভয়ংকর উন্মাদরা বলে যাচ্ছে “মুসলমানদের নির্যাতন করা হয়েছে/হয়”।
ঘৃণায় গা রি রি করে।
সৃষ্টিকর্তা যে নেই তার প্রমাণ এটাই। সৃষ্টিকর্তা থাকলে মুসলমানদের এই জঘন্য মিথ্যাচার তিনি সহ্য করতে পারতেন না। নিশ্চয় বাজ ফেলতেন এদের মাথায়। অথচ তা তো ফেলছেন না। অর্থাৎ তিনি নেই।
