এম ডি উমায়েদ হোসাইন

শেখ হাসিনা এখন ইসলাম ধর্মের সমস্ত কিতাব আর হুকুম আহকামকে যেন নিজের মত তৈরী করবার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আর তাইতো ভন্ড আহমদ শফীওকে ইসলামের নতুন নবী হিসেবে আমদানী করেছে। এইতো কিছুদিন আগেও শফি হুজুর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সুশীতল ছায়াতলে এসে সত্যকার অর্থেই ইসলামের পথে ছিলেন বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই হাসিনার খপ্পরে পড়ে এখন শফি আর তার চামচারা নতুন করে আওয়ামী ভার্সনে ইসলামের কথা বলছে।

এর আগে শফি হুজুর মেয়েদের স্কুলের শিক্ষা বা তাদের পড়ালেখা নিয়ে নানাবিধ বিরূপমন্তব্য করেছিলেন। মেয়েদের শিক্ষা প্রসঙ্গে বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির আহমেদ শফীর এক মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে শুক্রবার এক মাহফিলে মেয়েদেরকে স্কুল-কলেজে না দিতে এবং দিলেও সর্বোচ্চ ক্লাস ফোর বা ফাইভ পর্যন্ত পড়ানোর জন্য উপস্থিত মানুষের কাছে ‘ওয়াদা’ চান মি. শফী।

তার নেতৃত্বে এই দলটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনাও দিয়েছে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে যখন নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, তখন সরকারের মিত্র হিসেবে পরিচিত এরকম একজন ধর্মীয় নেতৃত্বের এধরনের বক্তব্যে সরকারের প্রতিক্রিয়া কি? সরকারের আসলে কণো প্রতিক্রিয়াই নাই। কেননা এই সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারতের প্রেস্কিপশনে নতুন করে কোরান রচনা করা এবং ধর্মের সকল কিছু পালটে ফেলা। আসলে এই সরকার এখন শফিকে ব্যবহার করে তাদের ধর্মীর রাজনীতির সকল সুবিধা আদায় করবার তালে রয়েছে।

এইতো গত শুক্রবার এই মূর্খ ও ভন্ড হুজুর চট্টগ্রামের আল জামিআতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে সভাপতি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফী। কয়েক হাজার মানুষের সেই মাহফিলে আহমদ শফী মেয়েদের চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণির বেশি পড়াশোনা না করানোর জন্য উপস্থিত মানুষদের কাছে ‘ওয়াদা’ বা প্রতিশ্রুতি চান। এখানে তিনি বলেন, ক্লাশ ফোর বা ফাইভ পর্যন্ত পড়া দরকার, কারণ বিয়ে দিলে স্বামীর টাকা পয়সা হিসেব করতে হবে, তাকে চিঠি লিখতে হবে।

পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের উল্লেখ করে আহমদ শফী আরো বলেন “আর বেশি যদি পড়ান, মেয়েকে ক্লাস এইট, নাইন, টেন, এমএ, বিএ পর্যন্ত পড়ালে ওই মেয়ে আপনার মেয়ে থাকবে না। অন্য কেহ নিয়ে যাবে। পত্রপত্রিকায় এ রকম ঘটনা আছে কিনা?”

মেয়েদেরকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করবার জন্য প্রকাশ্যে আহ্মদ শফী বক্তব্য দিচ্ছে আর সরকার এবং তার পোষা এন জিও রা একটি কথাও বলছে না। এই হচ্ছে সরকারের চরিত্র। আসলে সরকার এখন অর্থ-কড়ি দিয়ে শফিকে কিনে ফেলেছে। কিনে ফেলেছে হেফাজতকে। হেফাজতের কর্মীরা এখন ছাত্রলীগের মত ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছে। কয়দিন পর হয়ত দেখা যাবে এরা কোরানকেই পালটে ফেলেছে নিজের মতন করে। ফলে আমার মনে হয় আমাদের সময় এসেছে রুখে দাঁড়াবার জন্য। এই ভন্ড শফী হুজুর আর শেখ হাসিনা। এই দুইজনকে এখন রুখে দেয়াটা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।