মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যপার টা আমরা বাঙালিরা একেবারেই পাত্তা দেই না।
আমাদের ধারণা কেউ যদি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয় সে পাগল। এই ধারণা যে কত মানুষের আজীবন অসুস্থ থেকে যাওয়ার কারণ তা আর নাই বললাম।
আমি আজ ৮ মাস যাবৎ ডিপ্রেশনে ভুগছি।
প্রবাসী হলেও ১৬ আনা বাঙালী আমি। তাই যাইনি কখনো ডাক্তারের কাছে, কি বলতাম গিয়ে?
বুকের ভিতর টা ভারী হয়ে থাকে, চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে, দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে, সারাদিন বাসায় শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে, মানুষের সাথে দেখা করতে ইচ্ছে করে না।
এই ব্যপার গুলাকে রোগ না বরঞ্চ শয়তানি হিসেবেই দেখি আমরা।
কিন্তু সত্যি বলতে তিলে তিলে ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাকে এই ডিপ্রেশন। ঘুমের ঔষধ, এন্টি ডিপ্রেশন মেডিসিন, এলকোহল সব কিছু চেষ্টা করে দেখেছি।
শেষ পর্যন্ত গাঁজায় এসে ঠেকি আমি।
এই লাইনের পর থেকে সমাজ আমাকে গাঞ্জুট্টি বলে জাজ করা শুরু করবে, করুক আমার বয়েই গেছে।
এই ডিপ্রেশন আমার থেকে কিছু অনুভুতি কেড়ে নিয়েছে, আমি এখন আর স্বপ্ন দেখি না, ভালবাসতে ভুলে গেছি আমি।
আমি চাইনা আরেকজন আমার ডিপ্রেশনের সংগি হোক। তাই তার শত মেসেজ আমার ১ টা রিপ্লাই এর অপেক্ষায় আজও আমার ইনবক্সের কড়া নাড়ে।
একদিন এই ডিপ্রেশনের কোমড় ভেংগে দাড়াব আমি, কথা বলব ওই প্রত্যেকটি মানুষের সাথে যাদের বুকটা সবসময় ভাড়ি হয়ে থাকে, বলব তাদের একদিন হালকা হয়ে যাবে বুক, আলোকিত হয়ে উঠবে পৃথিবী, ফিরে আসবে সুখ, ফিরে আসবে ভাল সময়, ফিরে আসবে প্রিয় মানুষ গুলি আরেক কথায় ফিরে আসবেন আপনিও। ফিরে পাবেন আপনার নিজেকে। ফিরে পাবেন ভালবাসা। ফিরে পাবেন বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য।
ওই ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন নিয়েই কথা বলুন নিজের পাশের মানুষ্টির সাথে, হয়ত সেই মানুষ্টিরও বুক ভারী হয়ে থাকে, হয়ত তারো চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে।