মিজানুর রাহমান | Mijanur Rahman
বিজ্ঞান সবসময় নিজের আবিস্কৃত তত্ত্বের সমালোচনা করে, ভুল প্রমানের চেষ্টা করে. কেও কোন থিওরী দিলো, দুনিয়ার তাবৎ বিজ্ঞানীরা উঠে পরে লাগবেন সেটা ভুল প্রমান করতে। যিনি থিওরী টা দিয়েছেন তিনি নিজেই চেষ্টা করবেন তত্ত্ব টিকে ভুল প্রমান করতে। সেই সাথে ওই তত্ত্বের সত্যতাও যাচাই করে দেখা হবে. তত্ত্বটা সঠিক হলে, কী ডাটা পাওয়া যাবে সেই ভবিষ্যৎবাণী তত্ত্বে থাকবে। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন আদৌ সেই ডাটা পাওয়া যায় কিনা। তা পাওয়া গেলে তত্ত্বের নির্ভরযোগ্যতা বেড়ে যাবে। আর কেও যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিপরীত ফল পান, তবে সেই তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হবে. যেমন গত ১০০ বছর হলো মহা বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছেন যে কোন কিছুই আলোর গতির চেয়ে অধিক দ্রুত চলতে পারে না. এ পর্যন্ত যত পরীক্ষা করা হয়েছে, তা এই তত্ত্বের সাথে মিলে গেছে। আপনি যদি প্রমান করতে পারেন, কোন কিছু আলোর গতির চেয়ে অধিক গতিতে চলতে পারে, তবে আপনাকে স্বাগত জানানো হবে এমনকি আপনি নোবেল পুরস্কারও পেয়ে যেতে পারেন।
ধর্মের বিষয়টি ঠিক তার উল্টা। সবাই চেষ্টা করবে এর সুখ্যাতি করতে, এর সত্যতা সম্পর্কে বলতে, এর প্রশংসা করতে। কেও এটাকে ভুল প্রমান করতে চাইলে সেটা সহ্য করা হবে না. কেও ধর্ম মিথ্যা প্রমান করে ধর্মত্যাগী হলে তাকে হত্যা করা হবে. ইত্যাদি।
সুতরাং পদ্ধতিগত কারণেই আধুনিক বিজ্ঞানের আগমনে ধর্ম ক্রমেই নিঃশেষ হতে থাকবে, আর বিজ্ঞান আরও উন্নতি করতে থাকবে।