লিখেছেন জান্নাতুল ফেরদুশ ইমন / ২৮ অক্টোবর ২০২৫ – ০৯:৩৯ ঘটিকা

Written by Jannatul Ferdush Emon / 28 October 2025 – 09:39 AM

কথিত নবী মোহাম্মদের ধর্ম ইসলামের আকীদা হচ্ছে নবীর সাহাবীদের সম্পর্কে সমালোচনা করে কিছু বলা যাবে না। উনারা সকল কিছুর উপরে পবিত্র। সেই হিসাবে ঈমান অটুট রাখার অভিপ্রায়ে কোন মুসলিম তাদের অপকর্ম সম্পর্কে জানার পরও সমালোচনা নাযায়েজ হেসেবেই মেনে নিতে হয়। ইসলামের ইতিহাসে শুধুমাত্র যে নবী মুহাম্মদেরই এই রকম অপ্রাপ্তবয়ষ্ক নারীর প্রতি যৌন লালসা ছিলো, তাই নয় ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমরেরও ছিলো নারীর শরীরের প্রতি অবাধ যৌনাচারের নেশা। তিনিও একজন অপ্রাপ্তবয়ষ্ক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন, যার তখনো পিরিয়ড শুরু হয় নি। সেই মেয়েটি ছিলো উম্মে কুলসুম যা পিতা ছিল হয়রত আলী। 

হয়রত উমর সেই অপ্রাপ্তবয়ষ্ক মেয়ে উম্মে কুলসুমের সাথে ( জন্ম ৬২৭ খ্রিস্টাব্দ ) ৬৩৮ সালের নভেম্বর মাসে যৌনসঙ্গমও করেন। এবং উমর ছিলেন প্রবল যৌনশক্তির অধিকারী। অপ্রাপ্তবয়ষ্ক এ ১৩ বছরের বালিকা উম্মে কুলসুমের সাথে বিকৃত ভাবে যৌন সঙ্গম করেন। হায়াতুস সাহাবার গ্রন্থ থেকে আরো যানা যায়, উমর মেয়ের ভারজিনিটি আছে কিনা পরীক্ষার জন্য হযরত আলী যখন বিবাহের জন্য উমরের কাছে উম্মে কুমসুমকে পাঠান, উমর তাকে যাচাই করার উদ্দেশ্যে তার পায়ের কাপড় পর্যন্ত উঠিয়ে গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করে। 

আজ যখন আমরা ফিরে তাকাই এইসব ঘটনার দিকে, তখন আমাদের শরীর ঘৃণায় রি-রি করে ওঠে, আত্মা কেঁপে ওঠে। কিন্তু চুপ থাকতে হয় কারণ এই পাষণ্ড ইসলাম ধর্মের খলিফা। একইরূপের পিশাচেরা যুগে যুগে অন্যান্য ধর্মের আড়ালে করে গেছে নাবালক/নাবালিকার বলৎকার (ক্যাথলিক চার্চের কথা কেনা জানে?)। কিন্তু এই আধুনিক যুগেও এদের ব্যাপারে কিছু বললে ধর্মান্ধরা জান্তব গর্জন দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কী অদ্ভুত নৈতিকতা!