লিখেছেন মোঃ মিজানুর রাহমান / ২৯ সেপ্টেম্বর – ১৪:২৮ ঘটিকা
Written by Md Mijanur Rahaman / 29 September – 14:28 PM
জুলাই/অগাস্ট ২০২৪ অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক চিত্র ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর আগ্রাসী অবস্থানকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার জয় হলে পবিত্র কোরআনের আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে এক নীরব বিপ্লব ঘটবে।
অন্যদিকে, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলন (সূত্র: প্রথম আলো)।
খেলাফতে মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড অন্তর্ভুক্ত থাকবে (যেখানে বর্তমানে সর্বোচ্চ শাস্তি দুবছর) এবং তার অনুসারীরা বাংলাদেশে শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা চান (সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন)।
এই বক্তব্যগুলো স্পষ্ট করে যে, ধর্মীয় আইন ও শাস্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার একটি প্রবল প্রচেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছরে মৌলবাদী গোষ্ঠীর এমন সংগঠিত ও প্রত্যক্ষ আগ্রাসী ভূমিকায় খুব কমই দেখা গেছে। আওয়ামী পতনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ মধ্যযুগীয় শরীয়াতন্ত্রের কাছে চলে গেল কী?
—এটাই কি আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ? একটি গণতান্ত্রিক, মুক্তচিন্তার রাষ্ট্রের বদলে কি আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকিতে পড়বে? ধর্মীয় ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে যদি ১৮ কোটি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার হুমকির মুখে পড়ে, তবে দেশ এক বিপজ্জনক পথের দিকে এগোচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশ কোন পথে যাচ্ছে—এই প্রশ্ন এখন জাতীয় অস্তিত্বের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ক্রমশই।
